পাবলিকেশন (পর্ব-২)

Share on social media

Source: SAGE

শুরুতেই বলে নিচ্ছি আজকের লেখাটা যারা রিসার্চে নতুন ও অনভিজ্ঞ তাদের জন্য। যাইহোক, অনেক সময় দেখা যায় কন্টেন্ট অনেক ভালো হওয়া সত্ত্বেও পেপারের স্ট্রাকচারের জন্য তার গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। তাই, যেকোনো পেপার (রিভিউ, রিসার্চ, ইত্যাদি) লেখার ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সচেতন/যত্নশীল হতে হবে।

সাধারণত, যেকোনো ধরণের পেপারে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো থাকে/থাকতেই হবে৷

  • Keywords
  • Title
  • Abstract
  • Introduction
  • Materials/Methods/Results/Discussion/Analysis
  • Concluding Remarks

সাধারণত Keywords এর elaborate version হচ্ছে Title; Title এর elaborate version হচ্ছে Abstract; Abstract এর elaborate version হচ্ছে Introduction; আর Introduction এর elaborate version হচ্ছে পুরো পেপার।

এইসব পয়েন্টের কোথায় কি আলোচনা করা উচিত তা এখন সীমিত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করব৷

১. Keywords

Keywords মূলত আপনার ফিল্ডে কাজ করা অন্য রিসার্চারদের, আপনার পেপার খুজে পেতে সাহায্য করে।. তাই, পেপারের ভিজিবিলিটি বাড়াতে ভেবে-চিন্তে Keywords নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে, Keywords বাছাইয়ের সময় নিচের বিষয়গুলোতে লক্ষ্য রাখা যেতে পারে।

  • ১.১. আপনার ফিল্ডে কাজ করা একজন রিসার্চার, পেপার খোজার ক্ষত্রে সম্ভাব্য কোন কোন ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দিতে পারে তার একটা লিস্ট করে ফেলুন।
  • ১.২. এক শব্দের Keywords না দিয়ে একাধিক শব্দের Keywords দেয়ার চেষ্টা করা।
  • ১.৩. Title এ ব্যবহার করা শব্দ আবার Keywords এ রিপিট না করাই ভালো।
  • ১.৪. Keywords সিলেক্ট করার পর সেগুলো দিয়ে সার্চ করে দেখুন যে আপনার ফিল্ডের পেপার আসে কিনা।
  • ১.৫. যে জার্নালে পেপার সাবমিট করতে চান, তাদের Keywords এর গাইডলাইনটা দেখে নিবেন।

২. Title

যেকোনো পেপারের Title এমন একটি অংশ যা সর্বাধিকবার এবং সর্বপ্রথম পড়া হয়। এজন্য এমন একটা Title নির্বাচন করা উচিত, যার মধ্যে আপনার সম্পূর্ণ কাজের ছাপ থাকবে। Title বাছাইয়ের সময় নিচের কয়েকটা বিষয় মাথা রাখা প্রয়োজন।

  • ২.১. Title যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত রেখে সম্পূর্ণ পেপারের মূলভাব তুলে ধরতে হবে। Title এ জটিল কিছু ব্যবহার না করে সহজ-সরল ভাবে লিখাই ভালো।
  • ২.২. Title খুব বেশি লম্বা না কারাই উত্তম। সাধারণত ১০-১২ শব্দের মধ্যে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • ২.৩. Title পড়েই যেন আপনার পেপারের প্রবলেম এবং অবজেক্টিভ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
  • ২.৪. Title বাছাইয়ের পর তা দিয়ে সার্চ করে দেখুন যে ওই নামে আর কোনো পেপার আছে কিনা।

৩. Abstract

Title এর পরপরই পেপারের যে অংশটা পড়া হয় তা হলো Abstract এবং Abstract পড়েই রিডার পুরো পেপারের ধারণা পেতে চায়। এই অংশকে একটা পেপারের হার্ট বলা যেতে পারে৷ তাই Abstract খুব ভেবে-চিন্তে লেখা প্রয়োজন। নিচের কয়েকটা জিনিস Abstract এ অবশ্যই থাকতে হবে।

  • ৩.১. Problem statement: Abstract এর শুরুতেই ১/২ বাক্যে problem statement রাখা উচিত। অর্থাৎ কোন সমস্যা সমাধানে পেপারটা লেখা হচ্ছে তা এখানে ক্লিয়ার করতে হবে।
  • ৩.২. Objective: Problem statement এর পরপরই ১/২ বাক্যে অবজেক্টিভ ক্লিয়ারলি ডিফাইন করতে হবে। অর্থাৎ এ পেপারে মূলত কি করা হয়েছে তা বুঝাতে হবে।
  • ৩.৩. Metarials/methods: এই অংশে পেপারের Objective গুলো কোন কোন Materials/methods ব্যবহার করে অর্জন করা হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে৷
  • ৩.৪. Results: পেপারের আউটপুট কি তা এখানে হাইলাইট করতে হবে। এই অংশের শেষে একটা concluding statement দেয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য, Abstract এ অনেকেই Introductory কথাবার্তা লিখে এটা পরিহার করতে হবে। আর জার্নালভেদে Abstract এর ওয়ার্ড লিমিট থাকে, তাই সে অনুযায়ী Abstract লিখতে হবে। বাকী অংশ আরেকদিন লিখব ইনশা আল্লাহ।।। ধন্যবাদ।।।

Md Tauhidur Rahman Iqbal
Graduate Research Assistant
Department of Petroleum Engineering
Universiti Teknologi PETRONAS


Share on social media

Leave a Reply