পাবলিকেশন (পর্ব-১)

Share on social media

Source: USS

উচ্চ শিক্ষায় স্কলারশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত, সিজিপিএ, রিসার্চ/জব এক্সপেরিয়েন্স, পাবলিকেশন্স, ল্যাংগুয়েজ স্কোর ইত্যাদিকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। অধিকাংশ বাংলাদেশী প্রসপেক্টিভ স্টুডেন্টদের ভালো সিজিপিএ এবং ল্যাংগুয়েজ স্কোর থাকলেও পাবলিকেশন্স থাকে না বা থাকলেও নামকাওয়াস্তে জার্নালে থাকে। তাই আজকের লেখায় পেপার পাবলিকেশন নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই।

স্কলারশিপ পেতে পেপার থাকতেই হবে ব্যাপারটা এমন না, কিন্তু থাকলে অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে রাখবে। তবে, ভুয়া জার্নালে পাবলিশ করলে এটা এগিয়ে রাখার বদলে পিছিয়েও দিতে পারে। অনেকের মাথায় এখন এই প্রশ্ন আসবে যে, দেশের সীমিত ল্যাব সুবিধায় কিভাবে ভালো জার্নালে পেপার পাবলিশ করব!!!! এই ল্যাবের অসুবিধাকে পাশ কাটিয়ে ভালো জার্নালে পেপার পাবলিশের জন্য, পেপারের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানতে হবে।

সাধারণত ৩ ধরণের আর্টিকেল স্টুডেন্টরা পাবলিশ করে থাকে।

  • রিভিউ আর্টিকেল
  • রিসার্চ আর্টিকেল
  • বুক চ্যাপ্টার

রিভিউ আর্টিকেল/পেপারঃ

এধরণের পেপার লেখার ক্ষেত্রে কোনো ল্যাবের প্রয়োজন নেই, ইন্টারনেটই যথেষ্ট। তবে, রিভিউ পেপার লেখার জন্য অনেক পেপার পড়তে হবে এবং পেপার লেখা শেষে তার ওই ফিল্ড সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা হবে। কিছু জিনিস মাথায় রেখে একটি রিভিউ পেপার লিখলে, তা খুব সহজে Q1 জার্নালে পাবলিশ করা সম্ভব। বিগত কয়েকমাসে বেশ কয়েকজন জুনিয়রের পেপার রিভিউ করার সুযোগ হয়। একটা জিনিস খেয়াল করেছি, অধিকাংশের রিভিউ পেপারের কন্সেপ্ট ক্লিয়ার না (আমি নিজেও আন্ডারগ্রেডে বুঝতাম না)।

অনেকেরই ধারণা, রিভিউ পেপার লেখা মানে অন্য রিসার্চাররা কে কি করেছে তা তুলে ধরা। অনেকেই এভাবে লিখে ভালো জার্নাল থেকে বার বার রিজেকশন পায় আর হতাশ হয়। কারন, রিভিউয়ার পেপার রিভিউ করার সময়, পেপারটা কেনো লিখেছে!!! ফাইন্ডিংস কি!!! ফাইন্ডিংসগুলো কতটুকু ইম্প্যাক্টফুল!!! ফিউচার রিসার্চ ডিরেকশন কি!!! এসব প্রশ্নের উত্তর খোজে। আমার মতে রিভিউ পেপারে নিম্নলিখিত বিষয়গুলা থাকা আবশ্যক।

  • একটা প্রবলেম হাইলাইট করা। যেটা রিভিউ পেপার লিখার গুরুত্ব বুঝাবে।
  • সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য (রিসার্চ অবজেকটিভস) হাইলাইট করা। যেটা প্রবলেমের সলুশন দিবে।
  • রিভিউয়ের ফাইন্ডিংস হাইলাইট করা।
  • ফিউচার রিসার্চ ডিরেকশন হাইলাইট করা।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রিভিউ পেপারে অন্যের কাজের ক্রিটিকাল এনালাইসিস করে নিজের মতামত প্রদান কর‍তে হবে৷

রিভিউ পেপার লেখার সবচেয়ে বড় বেনিফিট হলো, এটা লেখা শেষে, অনেক অনেক নোভেল রিসার্চ আইডিয়া পাওয়া যায়। আরেকটা বিষয়, রিভিউ পেপারে সাইটেশন বেশি পাওয়া যায়, যা রিসার্চ প্রোফাইলকে সমৃদ্ধ করে। আন্ডারগ্রেডে থাকা অবস্থায় রিভিউ পেপার লিখে ফেলতে পারলে, মাস্টার্স/পিএইচডিতে নোভেল রিসার্চ টপিক খোজার ঝামেলা অনেকটাই মিটে যাবে + তাদের পক্ষে খুব ভালো মানের রিসার্চ প্রোপোজাল লিখা সম্ভব৷পরে একদিন, রিভিউ পেপারের স্ট্রাকচার+দ্রুত পাব্লিকেশন স্ট্রাটেজি নিয়ে আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ। ধন্যবাদ।

Md Tauhidur Rahman Iqbal
Graduate Research Assistant
Department of Petroleum Engineering
Universiti Teknologi PETRONAS


Share on social media

Leave a Reply