
শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার গঠন ও নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আজ থেকে ঠিক তিন বছর আগে কতগুলো উদ্যোমী মানুষের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করে “চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব”।
এরপর নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ক্লাবের কার্যক্রম যেমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্যারিয়ার বিষয়ক সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে একধাপ এগিয়ে রাখছে।
ফিরে যাওয়া যাক পিছনের তিনটি বছরে। এই অল্প সময়ে ক্যারিয়ার ক্লাব আয়োজন করেছে জব ফেয়ার, ট্যালেন্ট হান্ট, অসংখ্য সেমিনার ও ওয়ার্কশপ। আর সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য হলো সাপ্তাহিক সেশন। ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য প্রায় প্রতি সপ্তাহে থাকে ক্যারিয়ার ক্লাবের রেগুলার সাপ্তাহিক প্র্যাকটিস সেশন যেখানে শিক্ষার্থীরা এসে প্রেজেন্টেশনের চর্চা করে, হায়ারস্ট্যাডি ও বিসিএসসহ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়।
জবফেয়ারের মাধ্যমে নিজ ক্যাম্পাসে থেকেই বিভিন্ন কোম্পানীতে সরাসরি ভাইভা দেওয়া ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে “চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব”।
শুধু জব ফেয়ার করেই থেমে থাকেনি ক্যারিয়ার ক্লাব। ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রস্তুতির জন্য নানা ধরণের দক্ষতা বৃদ্ধির কাজ করে যাচ্ছে ক্লাবটি। একই সাথে সমান্তরালে অনলাইন গ্রুপের মাধ্যমে কার্যক্রম অব্যহত আছে।
এই তিন বছরের যাত্রা যে সবসময় খুব মসৃণ ছিল এমনটাও নয়। রেগুলার সেশনে কখনো রুমের ব্যবস্থা না হওয়াই কখনো কখনো অডিটোরিয়ামের সামনে, লাইব্রেরির সামনে, শহীদ মিনারে এমনকি খেলার মাঠে বসেও সেশন পরিচালনা করা হয়েছে।
নতুন ক্লাবকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে নানা ধরণের চ্যালেঞ্জ ছিল। এত সমস্যার মধ্যেও আমাদের কোনকিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি কেবলমাত্র কতজন পিতৃতুল্য শিক্ষকদের সহযোগিতা, কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা, কিছু উদ্যোমী স্বেচ্ছাসেবী ও আত্মত্যাগী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অপরিসীম ভালবাসার কারণে।
বিগত তিন বছরে সাথে থাকার জন্য আজকের এইদিনে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
আপনাদের সকলের সহযোগিতায়, ভবিষ্যতেও সকলের প্রত্যাশার জায়গাটা পূরণ করতে ক্যারিয়ার ক্লাব দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করে যাবে, ইন-শা-আল্লাহ।
মোঃ রোমিও হাসান
সভাপতি
চুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব